প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ :২৩

কেয়ারগিভার হিসেবে একজন ক্যান্সার রোগীর সাথে আচরণ কেমন হওয়া উচিত?

কেয়ারগিভার একটি ছোট শব্দ, তবে ক্যান্সার রোগীর জীবনে এর প্রভাব অন্তহীন। তারা একজন ক্যান্সার রোগীর পুরো সময়টা জুড়ে অবৈতনিক সেবা এবং সহায়তা প্রদান করে।

একজন কেয়ারগিভার কে?

পরিবারের সদস্য বা বন্ধুর মতো একজন ঘনিষ্ঠ
ব্যক্তি একজন কেয়ারগিভারের ভূমিকা পালন করে। একজন ক্যান্সার রোগী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়িতেই থাকেন এবং তাকে সেবা দেওয়া হয়। একজন কেয়ারগিভারের ভূমিকা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কারণ তাদের চিকিৎসাজনিত এবং চিকিৎসার বাইরে প্রায় সব ক্ষেত্রেই সহায়তা প্রদান করতে হয়

একজন ক্যান্সার রোগীর
জার্নিটা কঠিন এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল। শারীরিক যত্নের পাশাপাশি, একজন কেয়ারগিভার মানসিকভাবেও একটি বলিষ্ঠ সাপোর্ট দেয়। তারা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে নিয়মিত এবং আর্থিক বিষয়গুলোও দেখভাল করে। তারা একজন ক্যান্সার রোগীর সামগ্রিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে।  

একজন কেয়ারগিভা
রের ভূমিকা

একজন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসার সময় একজন কেয়ারগিভা
রের দায়িত্ব শুরু হয় এবং চিকিৎসার পরেও তা অব্যাহত থাকে। ক্যান্সারের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকা পরিবর্তিত হয়। তারা মানসিক সহায়তা প্রদান করে এবং দৈনন্দিন কাজে সহায়তা করে। একজন কেয়ারগিভার সততা ও নিরাপত্তার সঙ্গে এই সমস্ত কাজ করার চেষ্টা করেন।
 
যেহেতু
ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে রোগের অবস্থা এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়, তাই একজন কেয়ারগিভারের ভূমিকাও পরিবর্তিত হয়, তবে মূল দায়িত্বগুলি এক ধরনের হয়

আপনার প্রিয়জনের যত্ন নেওয়া সহজ নয়, তবে কিছু বিষয় আপনাকে এটিকে সহজ এবং উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।

সাধারণভাবে কথা বলা শুরু করুন
:  
শুরুতে, আপনি হয়তো কী বলবেন বা কীভাবে বলবেন তা নিয়ে 
সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই কথোপকথন শুরু করুন এবং তারা কেমন অনুভব করে বা চিন্তা করে তা বোঝার চেষ্টা করুন। ক্যান্সার রোগীকে আশ্বস্ত করুন যে আপনি সবসময় তার কথা শোনার জন্য পাশে রয়েছেন

কখনও কখনও, একজন ক্যান্সার রোগী তার অসুস্থতা সম্পর্কে কথা বলতে চান না এবং চুপ করে থাকতে পছন্দ করেন। আপনার বুঝতে হবে এবং এটিকে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া উচিত নয়।

যোগাযো
গের ব্যাপারে স্বচ্ছ্তা:
তাদের অনুভূতি বা চাহিদা সম্পর্কে কিছু অনুমান করবেন না; তাদের
সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন এবং শুনুন। একজন কেয়ারগিভাক্যান্সার রোগীর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় বিবেচনা করতে পারেন, কিন্তু রোগীর সেগুলির প্রয়োজন নাও হতে পারে এবং এই চিত্র  ঠিক উল্টোটাও হতে পারে হতে পারে। সুতরাং, স্বচ্ছ যোগাযোগ থাকা খুব জরুরি।

সৎ ও বুদ্ধিমান:
ক্যান্সার 
একজন ব্যক্তির শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক শক্তিকে নষ্ট করে দেয়। আপনি যদি একজন ক্যান্সার রোগীর সঙ্গে আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের বন্ধন গড়ে তোলেন, তাহলে তা এক বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করবে। একজন ক্যান্সার রোগী তার মানসিক চাপ সত্ত্বেও কিছুটা স্বস্তি বোধ করবেন এবং তিনি আপনার সাথে তার চিন্তাভাবনাগুলো শেয়ার করবেন। কিছু লুকোবেন না তার কাছ থেকে। তার স্বাস্থ্যের অবস্থার ইতিবাচক বিষয়গুলির পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাবগুলিও শেয়ার করুন।

সাহায্য নিন:
একজন কেয়ারগিভার হিসেবে আপনার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কেয়ারগিভার এবং ক্যান্সার রোগী
উভয়েরই এই বিষয়ে অবগত থাকা উচিত। যখন প্রয়োজন হয়, একজন ক্যান্সার রোগীর সাহায্য নিন, এবং এটি নির্ভরশীল বোধ করার  তার যে মানসিক চাপ থাকে সবসময় তা কিছুটা হলেও কমাবে।

স্বকীয়তায় বজায় রাখতে সাহায্য করুন:
একজন ক্যান্সার রোগীকে নিজের মতো করে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে দিন। এটা তাদের এটা অনুভব করতে সাহায্য করবে যে, তাদের জীবনে 
তাদের নিজস্ব কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ক্যান্সার কেবল একজন রোগীকেই প্রভাবিত করে না, একজন কেয়ারগিভারকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। একজন কেয়ারগিভারের যাত্রা সহজ নয়। সুতরাং, একজন কেয়ারগিভার হিসাবে, নিজের যত্নের কথা ভুলে যাবেন না। টেনশন করবেন না। একটিভ থাকুন, মানসিকভাবে চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন এবং অবশ্যই আপনার মনকে সতেজ রাখবেন।  

 


Fighting Cancer Desk
ফাইটিং ক্যান্সার ডেস্ক